বৃহস্পতিবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ
GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট
বৃহস্পতিবার, GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত ছিল, যদিও সামগ্রিক চিত্রে দেখা যাচ্ছে এই পেয়ারের মূল্য এখনো অনেকটাই সাইডওয়েজ রেঞ্জের মধ্যেই রয়ে গেছে। এখনও ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্যের বুলিশ প্রবণতা বজায় রয়েছে, তবে মূল্যের সাম্প্রতিক ঊর্ধ্বমুখী মোমেন্টাম আগের সময়ের তুলনায় অনেক দুর্বল। ইউরোর মতোই, ডলারের তিন দিনের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার পেছনে কোনো মৌলিক কারণ ছিল না। স্মরণ করিয়ে দিই যে, মাত্র বুধবারেই যুক্তরাষ্ট্রে গত তিন বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো প্রথম প্রান্তিকের জিডিপি প্রতিবেদনের ফলাফল নেতিবাচক এসেছে। JOLTS থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনের ফলাফল হতাশাজনক ছিল, ADP কর্মসংস্থান সংক্রান্ত প্রতিবেদনও প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি, এবং ISM ম্যানুফ্যাকচারিং PMI সূচকের ফলাফল গত মাসের তুলনায় কম ছিল। সুতরাং, আমাদের দৃষ্টিতে ডলারের এই দর বৃদ্ধির কোনো যৌক্তিকতা নেই। তবুও, মার্কেটের ট্রেডাররা এখনো তার নিজস্ব প্রত্যাশার ভিত্তিতে ট্রেড করছে, এবং এই মুভমেন্টগুলো চার্টে অনেকটাই এলোমেলো মনে হচ্ছে। ট্রেডাররা প্রায়শই টেকনিক্যাল লেভেল উপেক্ষা করছেন।
GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট
বৃহস্পতিবার 5-মিনিট টাইমফ্রেমে একাধিক দুর্বল মানের ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছে। দুর্বল মাত্রার অস্থিরতা এবং ডলারের ব্যাপারে কী সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত তা নিয়ে ট্রেডারদের মধ্যে সাধারণ বিভ্রান্তির কারণে, তিনটি সিগন্যালই ভুল প্রমাণিত হয়েছে। এই পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টে উপর কার্যত সামষ্টিক প্রেক্ষাপটের কোনো প্রভাবই পড়ছে না।
শুক্রবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল:
ঘন্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, অনেক আগেই GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা শুরু হতে পারত, কিন্তু মার্কেটের ট্রেডাররা এখনো কেবলমাত্র ট্রাম্পের পদক্ষেপের দিকে মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করছে। এর ফলে, এখনও পাউন্ড স্টার্লিংয়ের দর স্থিরভাবে ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে, যদিও তা অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে। সুতরাং, এই পেয়ারের মূল্যের ভবিষ্যত মুভমেন্ট এখনো মূলত মার্কিন প্রেসিডেন্ট এবং তার সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করছে — এবং অন্য কোনো কিছু এতে খুব একটা প্রভাব ফেলছে না। ভবিষ্যতে হয়তো মার্কেটের ট্রেডাররা আবার মৌলিক বিষয়ে মনোযোগ দেবে — তবে সেই সময় এখনো আসেনি।
শুক্রবার, নতুন করে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শুরু হতে পারে। এই সপ্তাহে প্রকাশিত বেশিরভাগ মার্কিন অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের ফলাফল হতাশাজনক ছিল, এবং শুক্রবারের প্রতিবেদনগুলো ডলারের পক্ষে সহায়ক হবে — এমন ধারণার খুব একটা ভিত্তি নেই। তবে, মার্কেটের ট্রেডাররা চাইলে এসব প্রতিবেদনও সম্পূর্ণভাবে উপেক্ষা করতে পারে।
5-মিনিট টাইমফ্রেমে বর্তমানে নিম্নোক্ত লেভেলগুলোকে কেন্দ্র করে ট্রেডিং করা যেতে পারে: 1.2848–1.2860, 1.2913, 1.2980–1.2993, 1.3043, 1.3102–1.3107, 1.3145–1.3167, 1.3203, 1.3289–1.3297, 1.3365, 1.3421–1.3440, 1.3488, 1.3537, 1.3580–1.3598। শুক্রবার যুক্তরাজ্যে কোনো উল্লেখযোগ্য ইভেন্ট নির্ধারিত নেই, অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রে ননফার্ম পেরোল এবং বেকারত্বের হার সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। মার্কিন সামষ্টিক প্রতিবেদনের ফলাফল এখন ডলারের জন্য নতুন একটি মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে, তবে মনে রাখতে হবে — বর্তমানে মার্কেটের ট্রেডাররা এসব প্রতিবেদনের প্রতি কোনো মনোযোগই দিচ্ছে না। টেকনিক্যালি, আটলান্টিক সাগরের আশপাশ জুড়ে প্রকাশিত অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের হতাশাজনক ফলাফল সত্ত্বেও মার্কিন ডলার ঊর্ধ্বমুখী থাকতে পারে।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:
1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।
2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন ওপেন করা হয় (যা টেক প্রফিট ট্রিগার করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ভুল সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যাল নাও গঠিত হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।
4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
6) নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
7) স্টপ লস: উদ্দেশ্যমূলক দিকে মূল্যের 15 পিপস মুভমেন্ট হওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
চার্টে কী কী আছে:
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। চলমান প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেট থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।
নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।